হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় - দুশ্চিন্তা করলে কি ওজন কমে
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় ও দুশ্চিন্তা করলে কি ওজন কমে এসব ধরনের
বিভিন্ন বিষয় গুলো জানতে হলে আপনি এই আটিকেলটি পড়ুন। তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের
হতাশ ও দুশ্চিন্তা সম্পর্কে বুজতে পারবেন।
আপনার জন্য এই পোষ্টের নিচের দিকে দুশ্চিন্তা সম্পর্কে আরো নতুন কিছু পয়েন্ট যোগ
করা হয়েছে। সে পয়েন্ট গুলো আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে মনোযোগ
সহকারে পড়েন। আশা করি তাহলে আপনি দুশ্চিন্তা সম্পর্কে অজানা তথ্য গুলো জানতে
পারবেন।
ভুমিকা
হতাশা ও দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনে অনেক সময় আসতে পারে। দুশ্চিন্তা হলো একটি
মানসিক অবস্থা যেখানে মানুষ ভবিষ্যতের বা অনিশ্চিত ঘটনার সম্পর্কে অতিরিক্ত
চিন্তা করে। দুশ্চিন্তা করা স্বাভাবিক এবং মানুষের জীবনের অংশ, কিন্তু যখন এটি
অনেক বেশি হয়
আরো পড়ুনঃ
চর্ম এলার্জি দূর করার গোপন রহস্য
বা নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর অনেকটা খারাপ
প্রভাব ফেলতে পারে।দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনি নিচের উপায়গুলো অনুসরণ
করতে পারেন। আশা করি সে উপায় গুলো মেনে চললে আপনার দুশ্চিন্তা গুলো দুর হয়ে যাবে।
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
হতাশা ও দুশ্চিন্তা মানুষের মনের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই অবস্থা থেকে
মুক্তি পেতে হলে আপনাকে নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং কিছু কার্যকরী
কৌশল অনুসরণ করতে হবে। একেকটি কৌশলের বিস্তারিত জানতে হলে আপনি নিচের পয়েন্ট
গুলো পড়ুন। মেডিটেশন করতে হবে মেডিটেশন হলো মনের শান্তি ও স্থিরতা অর্জনের একটি
প্রাচীন পদ্ধতি।
মেডিটেশন করলে মনের চাপ কমে এবং মনের শক্তি বৃদ্ধি পায়। মেডিটেশন করার জন্য
আপনাকে কোনো বিশেষ উপকরণ বা পরিবেশ লাগবে না। শুধু একটি শান্ত ও স্বচ্ছ জায়গায়
বসে আপনার নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিতে হবে। একটি গবেষণায় দেখা
গিয়েছে, প্রতিদিন ২৫ মিনিট মেডিটেশন করলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমে যায়।
ক্ষমা করা হলো অন্যের ভুল বা অপরাধ মনে না করে মনের ক্ষোভ ও রাগ ছেড়ে দেওয়ার
গুণ। ক্ষমা করলে মনের শান্তি থাকে এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। একটি
নিউরোসাইন্সের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে
মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাস্তববাদী হওয়া মানে হলো জীবনের
সমস্যা ও
চ্যালেঞ্জ গুলোকে স্বীকার করে তার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা।
বাস্তববাদী মানুষ হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকে এবং নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য
পূরণের জন্য পরিশ্রম করে। বাস্তববাদী মানুষ সবসময় আশাবাদী থাকে এবং সমস্যার
মধ্যেও সুবিধা খুঁজে পায়। এছাড়াও আপনি আরো কিছু কাজ করতে পারেন যেমন
- প্রিয় কাজ করা।
- বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো।
- ইয়োগা, ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা।
- নিজের ভালো গুণ ও সাফল্য নিয়ে ভাবা।
- নিজের ক্ষমতা ও সুযোগ নিয়ে আশাবাদী হওয়া।
আশা করি এই কৌশলগুলো আপনাকে হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আপনি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ইস্তিগফার, দোয়া ও দরুদ শরীফ পড়া। আল্লাহর
সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন। আল্লাহ আপনার সবচেয়ে আপন, আর সম্মান ও সম্পদের মালিক
তো কেবল আল্লাহ-ই। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার
অন্যতম উপায় হলো নামাজ পড়া। নামাজে সেজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে নিজের হতাশা ও
দুঃখের কথাগুলো তুলে ধরুন। নামাজ শেষে আপনি মনের মাঝে এক অসাধারণ অনুভূতি
জাগ্রত করতে পারেন। আল্লাহর ওপর ভরসা করা একটি মৌলিক উপায়। আল্লাহ
সর্বশক্তিমান এবং সবকিছুর নির্মাতা। তাই আমরা তার ওপর ভরসা
করবো আর আল্লাহর সকল কাজের উপর অটল থাকবো। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে
সকল সময় নেগেটিভ চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবো। আপনাকে সকল সময় কল্যাণমূলক
পরিকল্পনা করতে হবে। যাতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। দরুদ পাঠ করা
মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য একটি সহজ উপায়।
দরুদ পাঠ করলে মানসিক শান্তি অনুভব করতে পারা যায়। যে কোনো সময় শরিরের মানবিক
সমস্যার সমাধানের জন্য একজন পেশাদার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। আশা করি
আপনি যদি এই উপায় গুলো মেনে চলেন তাহলে আপনি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ৭ টি উপায়
আমাদের বিভিন্ন কথা বার্তা ও কাজের কারণ দুশ্চিন্তা হয়ে থাকে। চলুন দুশ্চিন্তা
থেকে মুক্তির ৭ টি উপায় গুলো নিচের দিকে জেনে নি।
- মেডিটেশন করুন। এটি মনকে শান্ত করে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
- নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যে কোনো প্রোডাক্টিভ কাজে নিজেকে লিপ্ত করুন যেমন খেলা ধুলা করা, হস্তশিল্প তৈরি করা ইত্যাদি। এতে করে আপনার মনের চাপ কমে যাবে।
- মনের ভিতরের ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন। মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখলে তা আপনার হৃদয়ের ক্ষতি সাধন করে। তাই ক্ষমা করার অভ্যাস গ্রহণ করুন এবং ক্ষোভ মুক্ত হোন।
- বাস্তববাদী হওয়া। জীবনে কিছু সমস্যা থাকবে এবং কিছু ঘটনা ঘটবে যা আপনি পছন্দ করবেন না। তবে সবকিছুর সমাধান রয়েছে এবং সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যায়। তাই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতা গ্রহণ করুন।
- চা পান করুন। চা পান করা আপনার মনের চাপ কমাতে এবং মুড উন্নত করতে সাহায্য করে। চা পান করলে আপনার শরীরে সেরেটোনিন নামের একটি হরমোন উৎপাদিত হয় যা আপনাকে আনন্দিত করে।
- সুস্থ খাবার খান। সুস্থ খাবার খাওয়া আপনার শরীরের পুষ্টি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। ফল, শাকসবজি, ডায়েট, মাছ, বাদাম, চকলেট ইত্যাদি খাবার আপনার মনের চাপ কমাতে ভালো।
- বন্ধুদের সাথে কথা বলুন। বন্ধুদের সাথে কথা বলা আপনার মনের ভার হালকা করে এবং আপনাকে সমর্থন দেয়। আপনার সমস্যা বা চিন্তা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদের পরামর্শ বা প্রশংসা গ্রহণ করুন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আশা করি
আপনার জীবন আনন্দময় হবে। এছাড়াও আপনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাত-পা স্ট্রেচ করুন
এবং সঠিকভাবে বসার অভ্যাস রপ্ত করুন। এতে আপনার শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
এবং পেশী রিল্যাক্সড হবে।
আরো পড়ুনঃ
অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা
ধীরে ধীরে মাথা ঘোরান এবং পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত
ব্যায়াম আপনার মনের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং স্ট্রেস হ্রাস করে। আপনার নিজের
জন্য সময় নেওয়া এবং আপনার প্রিয় কাজগুলি করা আপনাকে স্থগিত করে এবং
দুশ্চিন্তা হ্রাস করে।
এই উপায়গুলি অনুসরণ করলে আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তবে, যদি আপনার দুশ্চিন্তা ব্যাপক হয় এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে,
তবে আপনার একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে কি কি সমস্যা হয়
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে মন ও শরীরের উভয়ে ক্ষতি হয়। সে সমস্যা গুলো হলো-
- আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং কাজের উৎপাদনশীলতা কমে যায়।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানসিক বিপত্তির পাশাপাশি শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এতে খিদে না লাগা, ঘুম কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, বহুমূত্র এমনকি হৃদরোগের লক্ষন দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে অল্পতেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়া।
- অসামাজিক আচরণ দেখা দেয়, পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে দূরত্বের সৃষ্টি হয়।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে আপনার সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনাই নষ্ট হয়ে যায়।
- অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে আপনার বেঁচে থাকার প্রবণতাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং এটা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এছাড়াও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বের হওয়ার জন্য কিছু উপায় হলো-
- সমস্যার সমাধান খুঁজুন, অতীতকে আপনার অতীতের জায়গায় থাকতে দিন।
- নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন, শখের কাজ করুন, প্রিয় মানুষ ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান।
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, রেগে যাওয়ার পরিবর্তে শান্ত হয়ে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবুন।
- মনে জমিয়ে রাখা কথাই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকে। নিজের প্রিয় বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ কাউকে সব খুলে বলুন।
- সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটতে বা দৌড়াতে যান, এতে দুশ্চিন্তা কমে এবং মন ভালো থাকে।
- আশা করি আপনি এই তথ্যগুলো অনুসরণ করলে উপকার পাবেন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনার সফলতার কামনা করি।
দুশ্চিন্তা করলে কি ওজন কমে
দুশ্চিন্তা করলে ওজন কমে যেতে পারে। কারণ, দুশ্চিন্তা হরমোন ব্যবস্থা ও
মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে। দুশ্চিন্তা করলে কর্টিসোল নামের একটি হরমোন বেশি
স্রাব হয়, যা শরীরের ক্যালোরি ব্যবহার করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও,
দুশ্চিন্তার কারণে অনেকে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যার ফলে খাদ্যের প্রতি অরুচি
দেখা যায়। এতে করে শরীরের
ক্ষতি হয় ও ওজন কমে যায়। তবে, দুশ্চিন্তা করলে সবার ওজন কমে যায় না। কারও ওজন
বেড়ে যেতে পারে। কারণ, দুশ্চিন্তা করলে কিছু মানুষ বেশি খেতে শুরু করে, যা
শরীরের ক্যালোরি বাড়ায়। এছাড়াও, দুশ্চিন্তা করলে ইনসুলিন ও লেপটিন নামের দুটি
হরমোনের স্তর বদলে যায়, যা শরীরের ক্যালোরি সংরক্ষণ ও অতিরিক্ত ক্যালোরি
গ্রহণের কারণ হয়।
সুতরাং, দুশ্চিন্তা করলে ওজন কমে বা বেড়ে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
নয়। তাই দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়াও একজন মানুষের স্বাভাবিক
ওজনের একটা সীমা আছে, যা বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নামে পরিচিত। স্বাভাবিক
বিএমআই হচ্ছে ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৪ দশমিক ৯। নিচের মাত্রার চেয়ে কম হলে তা
আন্ডারওয়েট
বা ভগ্নস্বাস্থ্য, আবার ওপরের মাত্রার চেয়ে বেশি হলে ওভারওয়েট বা ওজনাধিক্য।
যদি দেখা যায় কারও শারীরিক ওজন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার
বিষয়। ভগ্নস্বাস্থ্য বা আন্ডারওয়েট হওয়াটাও সুস্থতার লক্ষণ নয়। স্বাভাবিক
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন বজায় থাকা অবস্থায়ও যদি আপনার ওজন কমতে থাকে, তবে
অবশ্যই এর
কারণ খুঁজে বের করতে হবে। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে কারও ওজন যদি পাঁচ কেজি
কমে যায়, তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় সেটাকে বলে সিগনিফিকেন্ট ওয়েট লস। এ রকম
হলে অবশ্যই আপনাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এগুলো বিভিন্ন রোগের
কারণে হঠাৎ ওজন কমে যেতে পারে, এই রোগ গুলো মানসিক রোগের কারণ।
হঠাৎ করে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ অনেক হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো ডায়াবেটিস,
বিষণ্ণতা, থাইরয়েড, ক্যান্সার, হার্ট ফেইলর, পেশী ক্ষয়, যক্ষ্মা, এইচআইভি
ইত্যাদি। এছাড়াও নিয়মিত খাবার না খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত
ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি ও শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে
পারে।
ডায়াবেটিস শরীর শুকিয়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ। সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিসে
ইনসুলিন অপসারণ বা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হতে পারে, যা শরীরের গুলুকোজ
নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করে। এর ফলে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত বিষণ্ণতার
কারণে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। বিষণ্ণতা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে,
আরো পড়ুনঃ
কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে
যা খালি বোধ করা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। থাইরয়েড অত্যধিক সক্রিয় হলে শরীর
দ্রুত ক্যালোরি কমতে থাকতে পারে, যা শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। উপরের
এই সব কারণ গুলো শরির শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। আর আপনি যদি মনে করেন যে
আপনার শরির শুকিয়ে যাচ্ছে তখন দেরি না করে একজন ভালো
চিকিৎসকের সাথে আপনার পরামর্শ করার উচিত। তবে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার হলো
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বেছে নেওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান
করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা, রোগের
কারণ জানা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা।
লেখকের শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের
বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট
পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url