স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় - এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় ও এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এসব ধরনের বিভিন্ন বিষয় পেতে হলে আপনি এই পোষ্ট টি পড়ুন। তাহলে আপনি বিভিন্ন
ধরনের এলার্জি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনার জন্য স্কিন এলার্জি ও এলার্জি সম্পর্কে এই পোষ্টের নিচের
দিকে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। আপনি যদি সে পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
ভালো করে পড়ে থাকেন। আশা করি তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সম্পর্কে অজানা
বিষয় গুলো জানতে পরবেন।
ভুমিকা
স্কিন এলার্জি হলো একধরনের অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা ত্বকের সাথে কোনও
ক্ষতিকারক পদার্থের যোগাযোগের কারণে ঘটে। স্কিন
এলার্জির
কারণ হতে পারে পরাগ, খাবার, ওষুধ, গাছপালা, নির্দিষ্ট ধাতু বা রসায়নিক পদার্থ
ইত্যাদি। স্কিন এলার্জির লক্ষণ হলো চুলকানি, লালভাব, ফোসকা,
আরো পড়ুনঃ
ঘামাচির জন্য ভালো পাউডার কোনটি
রূক্ষতা, ফুলে যাওয়া বা ঘাই পড়া। স্কিন এলার্জির চিকিৎসা হলো অ্যালার্জেনটি
এড়ানো, অ্যান্টিহিস্টামিন বা কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণ করা এবং ত্বকের যত্ন
নেওয়া। আরও বিস্তারিত জানতে হলে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো দেখতে পারেন।
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়
স্কিন এলার্জি হলো একটি সাধারণ সমস্যা, যা ত্বকের লালচে,
চুলকানি, ফোসকা, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখায়। স্কিন এলার্জির কারণ হতে পারে
বিভিন্ন ধরনের খাবার, ধুলোবালি, কোসমেটিক, ডিটারজেন্ট, পোশাক, ঔষধ, পোকা কাটা,
সূর্যের আলো ইত্যাদি। স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় গুলো নিচে দেওয়া হলো
- এলার্জি হওয়া বস্তু বা পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন। ধরেন যদি আপনার চিংড়ি মাছে এলার্জি হয়, তাহলে চিংড়ি মাছ খাবার থেকে বিরত থাকুন।
- ত্বকের উপর ঠান্ডা কম্প্রেস বা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের চুলকানি ও লালচে কমবে।
- অ্যালোভেরা জেল, কোকোনাট অথবা নারিকেল তেল, নিম পাতা, হলুদ ও দই মিশ্রণ ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকে লাগালে ভালো হয়। এগুলো ত্বকের শোথ ও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
- এলার্জি কমাতে ও ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়াতে অনেক পানি পান করুন। পানি ত্বকের টক্সিন বাহির করে দেয় এবং ত্বককে নেমতো রাখে।
- সানস্ক্রীন ব্যবহার বাইরে বেরোনোর সময় মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশ কাপড় দিন। সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।
- স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির জন্য অ্যালো ভেরা জেল বা অ্যালো থেকে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করুন।
- কাজের পর সন্ধ্যায় গোসল করুন। এতে আপনার শরীরে ধুলো-নোংরা ইত্যাদি দূর হয়ে যাবে এবং এতে এলার্জি হবে না।
- এছাড়াও, অনেকের এলার্জি জনিত খাবার যেমন- চিংড়ি মাছ, কচু, পুঁইশাক, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, শুটকি মাছ, বেগুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তবে এলার্জির লক্ষণ বেশি হলে বা অন্য কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডাক্তার আপনাকে এলার্জির টেস্ট, ক্রিম, লোশন, ট্যাবলেট ইত্যাদি দিতে পারেন।
ডাক্তারের নির্দেশানুসারে ঔষধ ব্যবহার করুন। আশা করি আপনি এই তথ্যগুলো মেনে
চললে উপকার পাবেন। স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে সচেতন থাকুন এবং সুস্থ
থাকুন।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এলার্জি চুলকানি হলো একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা, যা ত্বকের এলার্জির
একটি ধরণ। এটি
ত্বকের
লাল, ফুলে, চুলকানো এবং জ্বালা সৃষ্টি করে। এলার্জি চুলকানি দূর করার জন্য আপনি
কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন
- এলার্জি থেকে দূরে থাকুন। যে কোনো জিনিস যা আপনার ত্বকের এলার্জি সৃষ্টি করে, সেগুলো থেকে পরিহার করুন। যেমন, ধুলো, পরাগ, কুকুরের লোম, কিছু খাবার বা ঔষধ।
- ত্বকের উপর ঠান্ডা কম্প্রেস বা ঠান্ডা সেক দিন। এটি ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমাতে সহায়তা করে।
- অ্যান্টিহিস্টামিন ঔষধ গ্রহণ করুন। এটি হিস্টামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে, যা এলার্জির প্রধান কারণ। এটি আপনার ত্বকের চুলকানি এবং ফুসকুড়ি কমাতে পারে।
এছাড়াও অলিভ অয়েল তেল অতিরিক্ত ভার্জিন জলপাই তেল ত্বক নিরাময় এবং
মেরামত করতে সহায়ক। এটি চুলকানি হ্রাস করে এবং এলার্জির সমস্যা দুর করে।
বেকিং সোডা ত্বকের এলার্জির জন্য একটি কার্যকরে উপায়। এটি ত্বকের
বিভিন্ন ফুসকুড়ি দূর করতে সহায়ক, চুলকানি থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বকের আরও
প্রদাহ রোধ করে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার এলার্জি দূর করতে সহায়ক। এটি এলার্জির সমস্যা পরে
ত্বক নিরাময় এবং মেরামত করতে সহায়ক। তুলসী, নিম পাতা ও আদা এগুলো এলার্জি দূর
করার জন্য অনেক ভালো কার্যকরি।
অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক ওষধি এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির
কারণে এলার্জি দূর করতে সহায়ক। এটি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটিকে গতি দেয় এবং
এগুলি ত্বকের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, ময়েশ্চারাইজিং এবং শান্তিকর বৈশিষ্ট্য
রয়েছে।এছাড়াও, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, দূষণমুক্ত বাতাস নিশ্বাস
করা, মাস্কের ব্যবহার, কাপড় পরিধানে
সাবধানতা, নাক পরিষ্কার করা, পানি পান করার অভ্যাস এবং ধূমপান না করা। তবে একজন
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। যদি আপনার এলার্জি চুলকানি খুব বেশি হয় বা অন্য
কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন, শ্বাসকষ্ট, অসুস্থতা, জ্বর বা সংক্রমণ, তবে আপনাকে
একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তার আপনাকে সঠিক চিকিৎসা এবং
পরামর্শ দিতে পারেন।
চোখে এলার্জি হলে কি করা উচিত
চোখে এলার্জি হলে আপনার যে সব কাজ করা উচিত সে কার্যকরি বিষয় গুলো নিচে দেওয়া
হলো-
- এলার্জি উদ্রেককারী বস্তু থেকে দূরে থাকুন। যেমন, ধুলাবালি, পোষা প্রাণী, কোনো প্রসাধনী বা চোখের লেন্স।
- চোখে ঠান্ডা পানি দিন বা ঠান্ডা সেক করুন। এতে চোখের চুলকানি এবং লালচে কমবে।
- চোখের পাতা পরিষ্কার রাখুন। চোখে কাজল বা মেকআপ লাগাবেন না। চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিন।
- বাইরে বেরোনোর সময় চোখে সানগ্লাস পরুন। এতে চোখে ধুলাবালি বা রোদের আলো যাবে না।
- চোখে কিছু হলে চোখ পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- চোখে কোন সমস্যা দেখা দিলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়া যাবে না।
- চোখের এলার্জি দূর করার জন্য এন্টিহিস্টামিন ঔষধ বা আইড্রপ ব্যবহার করুন। এই ঔষধগুলি চোখের চুলকানি, লালচে, ফুলে যাওয়া এবং পানি পড়া কমাতে সাহায্য করে। তবে, ঔষধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এলার্জি হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এলার্জির কারণে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে। এছাড়া, চোখের এলার্জি অন্যান্য চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই,
এলার্জির লক্ষণ দেখা দিলে চোখ ঠিক করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
করতে হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জি চুলকানি হলো একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা যা ত্বকের লালচে, ফুলে,
কাঁচা এবং চুলকানো অবস্থা তৈরি করে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ধুলোবালি,
খাবার, ঔষধ, কোসমেটিক, পরাগ, পোকা কামড়ানো ইত্যাদি। এলার্জি চুলকানি দূর করার
জন্য আপনি নিচের কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন।
এই উপায় গুলো আপনার কাজে লাগবে। নিম তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যা ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূর করতে সহায্যে করে।
আপনি প্রতিদিন নারকেল তেলের সাথে নিম তেল মিশিয়ে এলার্জির জায়গায় লাগান এবং
প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিষ্কার করুন। সম্ভব হলে প্রতিদিন পানিতে নিম পাতা দিয়ে
স্নান করুন এবং কিছু
পাতা পানির সাথে খান। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক ওষুধি এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে অনেক প্রাকৃতিক নিরাময়ের প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। এটি
পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটিকে গতি দেয় এবং প্রশস্ত স্বস্তি দেয়। আপনি প্রতিদিন
অ্যালোভেরা জেল এলার্জির জায়গায় লাগান এবং প্রায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা ত্বকের এলার্জির জন্য
একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায়। এটি ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করতে সহায়তা করে, চুলকানি
থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বকের আরও প্রদাহ রোধ করে। আধা চা চামচ বেকিং সোডা কিছু
জলে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় প্রয়োগ করুন এবং এটি
ধুয়ে ফেলার আগে কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন।অ্যাপল সিডার ভিনেগার হলো অনেক
রোগের জন্য আশ্চর্য নিরাময়।
এতে প্রচুর এসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এই দুটি সমন্বিত বিভিন্ন ধরণের ত্বকের
এলার্জিতে জড়িত র্যাশগুলিকে চিকিৎসা করতে পারে। এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই উপায় গুলো ভালো করে ব্যাবহার করলে আপনি
উপকার পাবেন।
এছাড়াও
মাথায়
নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে মাথার এলার্জি ও চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
নিয়মিত বালিশ, চিরুনি পরিষ্কার রাখলে মাথায় এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই
উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি এলার্জি চুলকানি দূর করতে সাহায্য পেতে পারেন। তবে,
যদি এলার্জির লক্ষণ বাড়ায় বা ব্যাপক হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আপনি
যোগাযোগ করুন।
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এলার্জির কারণ ও তীব্রতা
অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়। কিছু সাধারণ উপায় গুলো হলো
- এলার্জি হওয়া পদার্থ থেকে দূরে থাকা। যেমন, ধুলোবালি, ফুলের রেণু, রাসায়নিক প্রসাধনসামগ্রী, কিছু খাবার ইত্যাদি।
- অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড মলম, ক্যালামিন লোশন ইত্যাদি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা।
- ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল করা বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়া। এটি আপনার রক্তনালীগুলি সংকুচিত করতে সহায়তা করে এবং হিস্টামিন বেরোতে দেয় না।
- ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে অ্যালোভেরা, অলিভ অয়েল, বেকিং সোডা, অ্যাপল সিডার ভিনেগার, নারকেল তেল, তুলসী, নিম পাতা, আদা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, এলার্জির সমস্যা পরে ত্বক নিরাময় এবং মেরামত করতে সহায়তা করে এবং চুলকানি হ্রাস করে।
এলার্জির লক্ষণ যদি বাড়ে যায় বা অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো জীবনবিপন্নকারী
অবস্থা হয় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই উপায়গুলি চর্ম এলার্জি
থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। তবে, যদি আপনি এলার্জির সমস্যার সাথে
সম্পর্কিত কোনও ঔষধ বা চিকিৎসা নিতে চান, তবে এটি একটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
এলার্জি দূর করার উপায় কি
এলার্জি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কিছু নির্দিষ্ট উপাদানের প্রতি
অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এলার্জি দূর করার জন্য প্রথমে এলার্জেন নামক উপাদানগুলি
চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এলার্জেন হতে পারে বিভিন্ন ধরণের খাবার, ধুলাবালি, পরাগ,
পশুর রোম, ঔষধ, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ
মশা মানুষের শরিরের কি ক্ষতি করেতে পারে
এলার্জেনগুলি থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকা এবং এলার্জির লক্ষণগুলি কমাতে ঔষধ বা
এন্টিহিস্টামিন গ্রহণ করা তাহলে এলার্জি দুর হবে। এছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক উপায়
ও ঘরোয়া উপচার আছে যা এলার্জি দূর করতে সহায়তা করতে পারে। যেমন
- নিম পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে একটি পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত অংশে লাগানো যেতে পারে।
- শরিরের যেখানে এলার্জি সেখানে অলিভ অয়েল তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে।
- এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে একটি তুলো ভিজিয়ে আক্রান্ত অংশে দবানো যেতে পারে।
- অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত অংশে লাগাতে হবে তাহলে এলার্জি অনেকটায় ভালো হয়ে যাবে।
এছাড়াও, এলার্জি দূর করার জন্য কিছু সাধারণ টিপস মেনে চলা উচিত। যেমন-
- যে খাবার খেলে এলার্জি হয় সেগুলো খাওয়া যাবে না।
- আপনার যদি হাঁপানি অথবা শ্বাসনালীর অন্য কোনো ধরনের রোগ থাকলে অবশ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে চলতে হবে।
- স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মোকাবেলায় শারীরিক ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
- বাসার পরিবেশ যেন নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে না হয়।
- বিছানারর চাদর, বালিশের কভার, ব্যবহৃত পোশাক ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- ধুলাবালিতে যাঁদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- পাশাপাশি যাদের শরীর অতিরিক্ত ঘামে তাদের জামা কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত গোসল করতে হবে।
এই সব উপায় গুলো মেনে চললে আশা করি আপনার এলার্জি হবে না। তবে আপনার যদি এলার্জি
বেশি পরিমানে হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
আর আপনি এলার্জির যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের কাছে যেনে নিবেন।
লেখকের শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের
বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট
পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url