শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর হলে কি করণীয়

আমার বিশ্বাস আপনি পোষ্টটি পড়ুন তাহলে আপনি যা খুজছেন তা সুন্দর ভাবে পাবেন । আমাদের এই বাংলাদেশে মানুষের কোন রোগ হলে তারা চিকিৎসা করতে ভয় পায়। সে কারণে সচরাচর মানুষের কোন রোগ হলে তা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজেরাই ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলে। এই কারণে মানুষ অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়।

মানুষের জ্বর বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। আমরা যদি শীতকালে বৃষ্টির পানিতে বেশি করে ভিজি তাহলে আমাদের জ্বর হয়ে থাকে। মানুষকে ডেঙ্গু মশাতে কামরালে জ্বর হয়। কিন্তু মানুষের অল্প জ্বর হলে বেশি পাওয়ার এর ঔষুধ খায়। এই কারণে মানুষ বিপদের সম্মুখীন হয়। বেশি জ্বর হলে শরীরে অনেক শীত করে থাকে।

জ্বর হলে মাথা ব্যথা, ঘার টেনে ধরা, সর্দি নাক দিয়ে পানি পড়া এসব কারণ দেখা দেয়।জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছারা যদি এন্টিবায়োটিক ঔষুধ খাওয়া হয় তাহলে শরীরের জন্য খতি হয়। সে কারণে মানুষকে প্রথমে জ্বরটা মাপা উচিত তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত ।

জ্বর এলে মানুষের শরীরে বেশিরভাগ দূর্বলতা দেখা দেয়। জ্বর হলে হালকা করে পানি গরম করে গোসল করতে হবে তাহলে শরীরের কিছুটা তাপমাত্রা কমে যাবে। তারপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে শরীরটা মুছে নিতে হবে। শরীলে যদি জ্বর কম থাকে তবে প্যারাসুটামল খাওয়াতে হবে।

আর যদি দেখা যায় শরীরে অনেক বেশি জ্বর তাহলে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। এই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর সাথে সাথে শরীরের অনেক জীবানু ধ্বংস হয়ে যায়। খুবই বেশি জ্বর যেমন ১০৫ ডিগ্রী হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আদা,লং দিয়ে চা খেতে হবে। হালকা গরম করে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি খেতে হবে পনির সাথে সেলাইন মিশেয়ে খেতে হবে। গরম দুধ খেতে হবে দুধ এ অনেক পরিমাণ ভিটামিন থাকে।

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজী খেতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন ; আনারস, বাতাবি লেবু, মালটা, লেবু, কমলা, আঙ্গুর, পেঁপে, জাম জাম্বুরা ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। এগুলো খেলে জ্বর থেকে খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবে।

বিশ্রাম নেওয়া, জ্বরের শরীরে আপনি যতখন সক্রিয় থাকবেন তখন আপনার শরিরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সে কারণে বিশ্রাম নিয়াটা অনেক জরুরি। জ্বর, সর্দি-কাশি, কমানোর জন্য সব সময় ঔষুধ না লাগলেও ১০২ ডিগ্রি জ্বর হলে অনেকের মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে ঘারে ও ‍পিঠে ব্যাথার সাথে সাথে টান ধরা , বমি বমি ভাব হওয়া। এসব হলে ডাক্তার এর অবশ্যয় পরামর্শ নিতে হবে। 

লেখকের মন্তব্য