বিল গেটস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা

বিল গেটস এর সফলতার গল্প এবং বিল গেটস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিল গেটস কে ও কি করে এসব ধরনের তথ্য জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনি যদি আমাদের সাথে থাকেন তাহলে বিল গেটস সম্পর্কে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন।
বিল গেটস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা
বিল গেটস সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে হলে এই পােষ্টের নিচে বিল গেটস সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। বিল গেটস কত টাকার মালিক ২০২৪ সালে বিল গেটস এর ১০ টি উক্তি এই সব পয়েন্ট গুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন আশাকরি তাহলে আপনি বিল গেটস সম্পর্কে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন।

ভূমিকা

আমরা কম বেশি অনেকেই বিল গেটস কে চিনি। বর্তমানের বিল গেটস একজন আমেরিকারন মহারথী ব্যবসায়িক। বিল গেটস হলেন বিনিয়োগকারী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, লেখক ও সমাজসেবক। মাইক্রোসফট কম্পানিতে কর্মজীবন চলাকালীন সময়ে বিল গেটস ছিলেন প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা, 

কম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও। ২০১৪ সালে বিল গেটস  প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে থাকা কালীন তিনি বৃহত্তম স্বতন্ত্র শেয়ারহোল্ডারও ছিলেন তার। 

বিল গেটস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা

অনেকেরই জানতে ইচ্ছা করে যে এতো টাকার মালিক বিল গেটস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা না জানি কতো দুর সে কতো দুর পর্যন্ত পরাশোনা করেছে। বিল গেটস ১৯৫৫ সালের ২৮ শে অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটন, ওয়াশিংটন নামক জায়গাতে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে বিল গেটস একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।


বিল গেটস যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন তার বাবা-মা ঠিক করে নিয়েছিলেন যে তার ছেলে কে আইন জীবি করবেন। বিল গেটস যখন ছোট ছিলো তখন বিল গেটস এর পরিবার প্রয় প্রতিদিন একটি সংস্কারকৃত খ্রিস্টান গীর্জায় যায়তেন। প্রায় বিল গেটস এর যখন ১৩ বছর বয়স তখন বিল গেটস কে একটি বে সরকারী লেকসাইড প্রিপ স্কুলে ভর্তি করেন তার বাবা,মা।

সেখানে বিল গেটস তার প্রথম সফটওয়্যার প্রোগ্রাম পরাশোনার পাশা পাশি লিখেছিলেন। অষ্টম শ্রেণিতে যখন বিল গেটস পড়ছিলেন তখন লেকসাইড প্রিপ স্কুলের ক্লাবের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারে টাইপ করার জন্য ১টি জেনারেণ বৈদ্যুতিক ৩৩ এএস আর টার্মিনাল কম্পিউটার ছিলো। এই কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং করার জন্য বিল গেটস সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন।

এই কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করার জন্য বিল গেটস কে প্রায় অনেক দিনই গণিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল। তারপর বিল গেটস গণিত আর কম্পিউটার সাইন্স বিষয় নিয়ে তিনি হার্ভার্ডেতে ছাত্র হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। মাইক্রোসফট সফটওয়্যার তৈরি করার সময় সফটওয়্যার তৈরিতে মনোযোগ না 

বসায় ১৯৭৪ সালে হার্ভার্ড ছেড়ে মাইক্রোসফট সফটওয়্যার তৈরির জন্য বিল গেটস কাজে লেগে পড়ে। সে হার্ভার্ড থেকে বিল গেটস কে ২০০৭ সালে অনারারি গ্র্যজুয়েশন ডিগ্রি দিয়ে থাকে।

বিল গেটস কত টাকার মালিক ২০২৪

বর্তমানে মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন বিল গেটস তাকে হাজার কোটি কোটির মধ্যে একজন ধরা হয়। বর্তমান বিশ্বে বিল গেটস কে বলা হয় একজন দানশীল ব্যক্তি। ২০২১ সালে বিল গেটস তার স্ত্রী মিলিন্ডারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য অনেক বিলিয়ন টাকা দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করলেও বিল গেটসের টাকার কোন ঘাটতি কমেনি।


বর্তমানে এখন বিল গেটস এর মোট টাকার পরিমান ‍১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা মতো। বিজনেসের সাইট থেকে দেখা গেছে বিল গেটস প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১৩০০ মার্কিন ডলার মতো আয় করে থাকে। আবার অন্যদিকে দেখা গেছে প্রতিদিন বিল গেটস এক লক্ষ ১২ হাজার টাকা মতো আয় করেছে।

এই বিল গেটস প্রায় ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী হিসেবে ছিলেন। এরপর মাঝখানে কিছু বছর বিল গেটস কে ধনে শীর্ষ এক থেকে দুই নম্বরে পিছনে ফেলেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তারপর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিল গেটস আবার বিশ্বের সর্বোচ্চ

ধনী হিসেবে স্বীকৃতি পান। বিল গেটস যখন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠান করে তখন থেকে তার ভাগ্য খুলে যায়। এখন থেকে বিল গেটস প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মতো তার মাইক্রোসফট কোম্পানির পিছনে খরচ করে।

বিল গেটস এর সফলতার গল্প

বিল গেটস ১৯৫৫ সালের ২৮ শে অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটন, ওয়াশিংটন নামক জায়গাতে জন্ম গ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন বিল গেটস এর লেকসাইড প্রিপ স্কুলেরে মাদার্স ক্লাবের জন্য ৩৩ এএসআর জেনারেল কম্পিউটার টার্মিনাল ছিল টাইপ করার জন্য। এখান থেকে বিল গেটস এর প্রোগ্রামিং এর মাধ্যম দিয়ে তার কাজ শুরু হয়।

এই কম্পিউটার দ্বারা বিল গেটস নিখুঁতভাবে কোডিং সফটওয়্যার কর্যকর করে এইটা দেখে অনেকে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই মাদার্স ক্লাব থেকে যখন অনুদান শেষ হয়ে যায়, তখন বিল গেটস আর তার অন্য শিক্ষার্থীরি বন্ধুরা মিলে মিনিকম্পিউটারের জন্য ডিইসি পিডিটি সিস্টেম টি নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন।


এই সিস্টেম গুলিতে ছিলো ১টি পিডিপি ১০ যা দিয়ে কম্পিউটারের ভিতরের সেন্টারের অন্তরর্ভুক্ত ছিল। গ্রীষ্মের সময় কালে বিল গেটস আর তার বন্ধু রিক ওয়েইল্যান্ড, পল অ্যালেন ও কেন্ট ইভান্সে ছিলেন। এই কেন্ট ইভান্সে প্রথম ব্যবসায়ের অংশীদার হওয়ার কারণে তাকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তারা অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করার

সময় বাগের কাজে অনেক বেশি সময় নষ্ট করতে কম্পিউটারে। পরে বিল গেটস সহ তারা মোট ৪ জন বন্ধু মিলে প্রোগ্রামিং করার জন্য একটি ক্লাব গঠন করেন। তারপর বিল গেটস ১৭ বছরে ট্র্যাক, ডেটা নামে ইনটেল ৮০০৮ প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে একটি ট্র্যাফিক কাউন্টার অ্যালেন ও বিল গেটস মিলে তৈরির উদ্যোগ শুরু করেন।

এরপর ১৯৭২ সালের দিকে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের ভিতরে কংগ্রেশনাল পেজ তৈরি তে কাজ করতেন। ১৯৭৩ সালে বিল গেটস যখন লেকসাইড স্কুল থেকে পাশ করে তখন সেই স্কুল থেকে তাকে জাতীয় মেধাবি স্কলার হিসাবে স্বীকৃতি দেন। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড কলেজে বিল গেটস অটাম সেশনে স্কোলাস্টিক এপটিচিউড টেস্টে ১৬০০ এর ভিতর ১৫৯০ পেয়েছিলেন।

তারপর বিল গেটস প্রিল মেজর টা বেছে নিলেও পরবর্তীতে তিনি মেজর হিসেবে কম্পিউপার বিজ্ঞান ও গণিত স্তরে কোর্স নিয়েছিলেন। ২ বছর পর বিল গেটস হার্ভার্ড ছেড়ে চলে যান তার অনুপস্থিতিতে স্টিভ বল্মার মাইক্রোসফটটের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে ২০০০-২০১৪ সাল পর্যন্ত বিল গেটস পদত্যাগ থাকায় স্টিভ বল্মার অবস্থাকে বজায় রাখে।

১৯৭৪ সালে বিল গেটস আর পল অ্যালেন মিলে হানিওয়েলে যোগ করেন। তার পর তার একটি প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য সময় হিসেবে উপলব্ধি করে এবং অন্যান্য প্রকল্পে কাজ করেন। এরপর বিল গেটস ২০১৩ সালের দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিলিয়নার হিসাবে ছিলেন। তখন বিল গেটস এর টাকার পরিমান ছিল ৭৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই সব সূত্র থেকে বলা হয় যে মাইক্রোসফ এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেইস আর পল অ্যালেন কে। ২০১৪ সালের প্রথম দিকে জানা জাই বিল গেটস এর বেশির ভাগ টাকা ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্ট এল এলসি তে ছিলো। তারপরও বিল গেটস রিসর্টস ,কর্বিস কর্পস ও ফোর সিজনস হোটেলের অংশীদার ছিলেন।

বিল গেটস এর ১০ টি উক্তি

বিল গেটস এর ১০ টি উক্তি গুলো নিচে লেখা হলো-
  1. সফল্য এমন এক ধরনের শিক্ষা যা বুদ্ধিমান মানুষকে এমন ধরনের চিন্তার দিকে ধাবিত করে যে সে কারণে তারা অপরাজিত হতে পারে না।
  2. জীবন ন্যায্যে নয় এতে অভ্যস্ত হয়ে নাও। সাফল্য পাওয়া ভালো কিন্তু ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষা গুলো মনে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  3. যদি কোন কিছু ভালো ভাবে করতে না পারো তখন অন্তত সেটা ভালো ভাবে উপস্থাপন করো।
  4. প্রযুক্তি শুধু একটি যন্ত্র যা বাচ্চাদের একসাথে কাজ করাতে এবং অনুপ্রেরণা দিতে শিক্ষাক সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  5. আমি বিশ্বাস করি যে যদি তুমি কোন মানুষকে সমস্যা থেকে তার সমাধান দেখিয়ে দাও তাহলে তারা সেই ভাবে কাজ করা শুরু করবে।
  6. আমি মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা হতে পেড়েছি তার কারণ আমি সব নতুন কিছু করার জন্য আগ্রহী বেশি ছিলাম আর সকলকে নতুন অগ্রগতীর জন্য চলতে হবে।
  7. যে মানুষটি তার জীবনে অনেক অসুখী তার প্রতি লক্ষ রাখুন তাহলে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
  8. যদি আমরা স্বভাব বদলাতে চাই সে কারণে আমাদের অনেক টাকা ঢালতে হবে আমাদের স্বভাবের পেছনে।
  9. আমরা যেনো জীবনে উন্নতি করতে সে কারণে আমাদের পাশে এমন একজন মানুষ প্রয়োজন যারা আমাদের ভালো ও সঠিক কাজের মতামত দিবে।
  10. আপনি কোন ধরনে কাজ ভালোভাবে করতে পারেন না, তাহলে আপনি অন্তত চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url