রান্নার সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে

রান্নার সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে এবং গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম গুলো কি কি এসব সম্পর্কে জানতে হলে আপনি আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের সাথে থাকলে আপনি এই পোষ্টের গ্যাস সিলিন্ডার সম্পর্কে সকল তথ্য বুজতে পারবেন।
রান্নার সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে
এই পোষ্টের নিচের দিকে গ্যাস সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সে পয়েন্ট গুলো যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়েন। আশাকরি তাহলে আপনি গ্যাস সম্পর্কে সকল বিষয় গুলো বুজতে পারবেন।

ভূমিকা

সিলিন্ডার শব্দটি বিভিন্ন সংগঠনে ব্যবহার হতে পারে। সিলিনডার হল একটি জ্যামিতিক আকৃতি যা দুটি সমবৃত্ত বেলনের মাঝখানে একটি সমবর্তক পৃষ্ঠ দ্বারা গঠিত। সিলিন্ডার হল একটি গোলাকার পাইপ যা সাধারণত গ্যাস বা তরল পদার্থ সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরবরাহ করা হয় যা বিভিন্ন উপকরণে ব্যবহৃত হয়।


একটি সিলিন্ডার সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর পুনরায় চার্জ করা হয়। সিলিন্ডার ব্যবহার করে বিভিন্ন উপকরণে গ্যাস সংরক্ষণ করা হয়, যেমন অক্সিজেন, এসিটিলিন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় নিরাপদ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

যেমন, সিলিন্ডারের মেয়াদ চেক করা, পাইপ পরিষ্কার করা, সিলিন্ডার কাছাকাছি কোনো জ্বলনীয় বস্তু রাখা যাবে না ইত্যাদি। আপনি যদি সিলিন্ডার সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো পরতে পারেন।

রান্নার সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে

সিলিন্ডারে রান্নার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস হল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস আছে তা জানা যায় না। কিছু মানুষ ঝাঁকুনি দিয়ে বুঝতে পারেন আবার কেউ কেউ অনুমান করেন। যে চুলার আগুনের রং হলুদ হয়ে গেলে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হতে চলেছে। সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে তা জানতে আপনি এই কৌশল ব্যবহার করতে পারেন এই কৌশল ব্যবহার করে

আপনি কয়েক মিনিটেই জানতে পারবেন। আপনার সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে। আবার আপনি সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস অবশিষ্ট আছে তা জানতে চাইলে আপনি একটি ভেজা কাপড় দিয়ে সিলিন্ডারটিকে মুছে নিতে পারেন। তারপর কিছুক্ষণ পর দেখবেন যে সিলিন্ডারের যে অংশটা শুকিয়ে গেছে, সেটিতে গ্যাস নেই।

আর যে অংশটা ভেজা রয়েছে, সেই অংশেই গ্যাস রয়েছে। রান্নার সিলিন্ডারে বিউটেন ও প্রোপেন গ্যাস থাকে। এই দুটি গ্যাস হলো এলপিজি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) এর মূল উপাদান। এলপিজি হলো একটি পরিষ্কার, দুর্গন্ধহীন ও উচ্চ ক্যালোরিক জ্বালানী যা রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাসগুলো রান্না করার জন্য অনেক সহজ করে দেয়।

গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম গুলো কি কি

আপনি সিলিন্ডারের ওপরে আইএসআই চিহ্ন রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। সবসময় আসল কোম্পানি বা দোকানদারের কাছে থেকে গ্যাস সিলিন্ডার কিনুন। এগুলি কালো বাজার থেকে কিনবেন না। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । সেই সঠিক ব্যবস্থা গুলো নিচে দেওয়া হলো-

  • সিলিন্ডার সংযুক্ত করার জন্য সার্ভিস ম্যান বা ডেলিভারি ম্যানের সাহায্য নিন, যাতে এটি যত্ন সহকারে এবং সঠিক ভাবে ফিট করা হয়।
  • সিলিন্ডার খাড়াভাবে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। উপুড় বা কাত করে রাখা যাবে না।
  • সিলিন্ডার কোন আকা বাকা জায়গার ওপরে নয় বরং মাটিতে সমতল স্থানে রাখতে হবে।
  • চুলা সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে।
  • সিলিন্ডার রান্নাঘরের চুলার নিচে, ক্যাবিনেটের ভেতরে কিংবা বদ্ধ অবস্থায় রাখা যাবে না। বরং খোলামেলা জায়গা এবং সমান ভূমিতে রাখতে হবে, যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে।
  • বিদ্যুৎ, দাহ্য, প্রজ্বলিত বা বিস্ফোরক পদার্থ এবং ভিন্ন কোনো গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে সিলিন্ডার দূরে রাখতে হবে।
  • সিলিন্ডারের আশপাশে আগুন জ্বালানো এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • সিলিন্ডারের ওপরে ভাড়ি বা বোঝা রাখা যাবে না।
  • রান্না শেষে চুলার সিলিন্ডারের রেগুলেটর সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
  • সিলিন্ডার, রেগুলেটর, পাইপ অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে কেনা উচিত।
  • সিলিন্ডারের গায়ের মেয়াদ নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
  • সিলিন্ডারে লিকেজ খোঁজার সময় মোমবাতি কিংবা ম্যাচের কাঠি ব্যবহার করা যাবে না।
  • বছরে অন্তত একবার গ্যাস সিলিন্ডার এবং এর সঙ্গে ব্যবহৃত নানা রকম সামগ্রীর পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
  • সিলিন্ডারের ভাল্ভ, গ্যাসের পাইপ বা ফিটিংস দুর্বল হলে কিংবা সিলিন্ডারে ছিদ্র থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে

গ্যাস সিলিন্ডারে যে গ্যাস থাকে তা নির্ভর করে সিলিন্ডারের ধরনের উপর। সাধারণত রান্নার জন্য ব্যবহৃত সিলিন্ডারে এলপিজি (LPG) গ্যাস থাকে, যা প্রোপেন ও বিউটেন গ্যাসের মিশ্রণ। অন্যদিকে সিলিন্ডারে বসুন্ধরা গ্যাসও থাকে। এলপিজি ও বসুন্ধরা গ্যাস তরল অবস্থায় রাখা হয় চাপের মাধ্যমে এবং ব্যবহারের সময় গ্যাস অবস্থায় পরিণত হয়।


অন্যদিকে, বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডারে হিলিয়াম বা হাইড্রোজেন গ্যাস থাকে। হিলিয়াম গ্যাস একটি অবৈধ গ্যাস, যা বাতাসের চেয়ে হালকা এবং অগ্নিহীন। হাইড্রোজেন গ্যাস একটি বৈধ গ্যাস, যা বাতাসের চেয়ে হালকা এবং অত্যন্ত দাহ্য। বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাসগুলি কম চাপে রাখা হয় এবং বেলুন ফুলানোর সময় গ্যাসগুলি বাতাসের সাথে মিশে যায়।

সিলিন্ডারে গ্যাসের ধরণ সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে তা সিলিন্ডারের উৎসকারক কোম্পানি দ্বারা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানি গ্যাস সিলিন্ডার উৎসর্গ করে থাকে। গ্যাস সিলিন্ডারে সাধারণত এলপিজি ও বসুন্ধরা গ্যাস থাকে। এলপিজি গ্যাস ও বসুন্ধরা গ্যাস যে চাপ তৈরি করে,

তার চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি চাপ ধারণ করার ক্ষমতা এসব সিলিন্ডারের থাকে। এই জন্য সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোন ঝুঁকিই নেই বলে বলা হয়। তবে, সিলিন্ডারের যথাযথ ব্যবহার ও পরিচর্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ যেন কোন দুর্ঘটনা ঘটে না সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ জানার জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

কোন গ্যাস সিলিন্ডার সবচেয়ে ভালো

গ্যাস সিলিন্ডারের মান তার ব্যবহারের উপযোগিতা, নিরাপত্তা এবং দীর্ঘত্ব উপর নির্ভর করে। এমএস কম্পোজিট সিলিন্ডারস অনুযায়ী, টাইপ ৩, টাইপ ৪ এবং টাইপ ৫ সিলিন্ডারগুলো সবচেয়ে উপযোগী, যা অ্যাপ্লিকেশনের উপর নির্ভর করে। পাকিস্তানের ডারাজ ডট পিকে অনুযায়ী, কম্পোজিট এলপিজি সিলিন্ডার রেগুলেটর সহ ১০ কেজি গ্যাস ধারণ ক্ষমতা সহ বিভিন্ন

রঙের নতুন প্রযুক্তির অভ্যন্তরীণ ফাইবার বডি সহ বিভিন্ন ধরনের সিলিন্ডার পাওয়া যায়। তবে, আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং স্থানীয় বিধান অনুযায়ী সঠিক সিলিন্ডার নির্বাচন করা উচিত। গ্যাস সিলিন্ডার কোনটি ভালো তা নির্ভর করে সিলিন্ডারের মান, দাম, পরিবেশকতা, নিরাপত্তা ও সেবা কোম্পারির উপলব্ধির উপর। একটি সিলিন্ডারের মান এবং দাম নির্ভর করে সেটি

কোন কোম্পানি থেকে কিনা হয়। বাংলাদেশে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে। এলপিজি সিলিন্ডার একটি উচ্চ মানের সিলিন্ডার যা নিরাপদ এবং দাম কম। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, যেমন টোটাল, বসুন্ধরা, যমুনা, ওমেরা ইত্যাদি। আপনি নিজেকে সিলিন্ডার কিনার আগে সিলিন্ডারের মান এবং দাম পরীক্ষা করতে পারেন।

সিলিন্ডার কিনার আগে সিলিন্ডারের মুখে কাগজে মোড়ানো সিল আছে কি না তা আপনি দেখতে পারেন। সিল থাকা মানে হচ্ছে ভেতরে গ্যাস যথাযথভাবে পরিপূর্ণ আছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভালো তা বলা কঠিন, কারণ এগুলোর মান ও দাম অনেক ক্ষেত্রে একই রকম। তবে কিছু কোম্পানি আরও বেশি গ্রাহক বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে তাদের

নিরাপদ ও পরিবেশক সিলিন্ডার, সহজ ও সহায়ক সেবা ও প্রতিষ্ঠানের সুনামের মাধ্যমে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে বলা যেতে পারে টোটাল এবং বসুন্ধরা। এগুলোর সিলিন্ডার মানসম্মত, দাম যুক্তিসঙ্গত, পরিবেশক ও নিরাপদ। এছাড়াও এগুলোর সেবা উপলব্ধি ও গ্রাহক সন্তুষ্টি উচ্চমানের। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা ও করণীয় মেনে চলতে হবে,


যেমন সিলিন্ডারের মেয়াদ, সিল, সেফটি ক্যাপ, পাইপ, রেগুলেটর ঠিকঠাক আছে কিনা পরীক্ষা করা, সিলিন্ডার সোজা বা খাড়া করে রাখা, সিলিন্ডার ও চুলার সংযোগ পাইপের সঙ্গে কোনো কিছু প্যাঁচানো না থাকা, সিলিন্ডার রান্নার জায়গা থেকে দূরে রাখা, রান্না শেষে রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করা ইত্যাদি। এই সতর্কতা ও করণীয় মেনে চললে গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াতে আপনাকে সহায়তা করবে।

শেষ কথা

আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
11




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url