সামাজিক বন বা বনায়ন কাকে বলে?

অনেকে জানতে চই যে সামাজিক বন বা বনায়ন কাকে বলে? এবং সামাজিক বনায়ন কত প্রকার ও কি কি ? সামাজিক বনায়ন সুন্দর ভাবে পরিচালন করার জন্য মানুষের প্রয়োজন হয়। এই সম্পর্কেও অনেকে জানতে চাই পোষ্টটি আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন তাহলে বুঝতে পাড়বেন।
সামাজিক বন বা বনায়ন কাকে বলে?
আপনাদের সকলের কাছে আমার একটি অনুরোধ আপনারা এই পোষ্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোষ্টটি ভালো করে মন দিয়ে পড়ুন । তাহলে আপনি যা খুজছেন আমার বিশ্বাস আপনি পাবেন। আর সামাজিক বনায়ন নিয়ে নিচে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছি আপনি পরলে অনেক কিছু বুজতে পারবেন।

ভূমিকা

সামাজিক বনায়ন এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা অনেক দরিদ্রমানুষের জীবিকা নির্বাহী হয়ে থকে। আমাদের এই দেশে প্রায় ৬০ বছর এর দিকে বনায়ন বানানোর কাজ শুরু হয়। এই বনায়নের কাজ করার জন্য মানুষকে বনায়ন বিভাগ কাজের জন্য উৎসাহিত করে দরিদ্র মানুষকে। এই বনায়নের মাধ্যমে প্রায় প্রতি বছর বনায়ন বিভাগ থেকে কাঠ কেটে জ্বালানী জিসাবে বিক্রয় করছে।

অন্য দিকে গাছ দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন, খাট, চকি, চেয়ার, টেবিল, ওয়্যার ড্রপ ইত্যাদি বানিয়ে বাজারে বিক্রয় করছে বনায়ন বিভান। এসব কাজ করে দরিদ্র মাষের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। মানুষের বেচেঁ থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়জন সে অক্সিজেন আসে গাছপালা থেকে।

সামাজিক বন বা বনায়ন কাকে বলে?

বিভিন্ন বিজ্ঞানির পরিকল্পনা দ্বারা যে পদ্ধতিতে গাছ পালা রোপন বা লাগানো হয় বনায়নে। বনায়ন করার পর বনে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের গাছ এমনিতেই হয়ে থাকে। এইসব ফল দরিদ্র মানুষেরা নিজের জীবন বাচাঁতে খেয়ে থাকে। এক কথায় বলা যায় যে বনায়ন বিভগ সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে সমাজের জনগণের কল্যানের জন্য কাজ করে থাকে তাকে বনায়ন বা সামাজিক বনায়ন বলে।

সামাজিক বনায়ন কত প্রকার ও কি কি ?

বাংলদেশে বিভিন্ন বনায়ন বিভাগ দ্বারা প্রচলন আছে যে বনায়ন পাঁচ প্রকার যেমন,
  • সামাজিক বনায়ন।
  • কৃষি বনায়ন।
  • সমতলভূমির বনায়ন।
  • ম্যানগ্যেভ বনায়ন।
  • পাহাড়ি অঞ্চলের বনায়ন।

সামাজিক বনায়নের বর্তমান অবস্থা কি ধরণের ?

সরকারের বিভিন্ন বনায়ন কর্মসূচির কারণে আজ সত সত দরিদ্র লোক তিন বেলা করে খাদ্য খেতে পাচ্ছে। যে সব দরিদ্র জনগনরা আগে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা চোখে দেখেনাই আজ তারা সরকার ও বনায়ন বিভাগের কারণে ৫০ হজার থেকে ১ লক্ষ মতো টাকা আয় করছে। অনেক আগেরে সময় অনেক দরিদ্র ছিলো যারা পাহাড়ি অঞ্চেলে কাজ পেতো না।

যার কারণে তারা না খেয়ে থাকতো বেশি সময়ই এখন দরিদ্রতা অনেক কমে গেছে। এই বনায়নের কারণে অনেকে আজ লাখ প্রতি হয়ে আসছে। বনায়ন বিভাগ মন্ত্রনালয় থেকে একজন কর্ম কর্তা বলে সামাজিক বনায়নের কারণে দিন দিন আয়ের পরিমাণ বেড়েয় যাচ্ছে। এখন এই আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৩১ কোটি ৮ লক্ষ ৭৯ হজার ২৬৫ টাকা।

সারা বছর সামাজিক বনায়ন কে টিকিয়ে রাখার জন্য এখন ৩৫ কোটি ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩০৪ টাকা জমা হয়েছে গাছ রোপন করার জন্য।

সামাজিক বনায়নের বৈশিষ্ট্য কি কি ?

সামাজিক বনায়ন হলো একটি স্থানীয় জায়গার বিভিন্ন দরিদ্র জনগনের উপকারের লক্ষে কাজ করা। বনায়ন বিভাগ থেকে পরিচালিত বনায়নের কার্যক্রম দ্বারা সকল দরিদ্রদের সফলকামী তৈরি করে তোলা। একটি বনায়নের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বনায়নে গাছ লাগানো গাছের পরিচর্যা করা বনায়ন সম্পদের নিয়ন্ত্রণ করা এবং ব্যবস্থাপনা এইসব কাজেই তারা জরিত থাকে।

একটি বনায়ন মন্ত্রনালয়ের সর্ব প্রথম কাজ দরিদ্র জনগনের সামাজিক সুবিধা নিশ্চিত করা। একজন বনায়ন বিভাগের উদ্দেশ্য থাকে দরিদ্র জনগষ্ঠির বাসস্থান এর ব্যবস্থা করা তাদের খাদ্য, আসবাবপত্র, জ্বালানি এবং মূলধন দ্বারা তাদের চাহিদা মেটানো।

লেখকের মন্তব্য

আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url